সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন
বাদিয়াখালী থেকে এস এম সফিকঃ বাদিয়াখালীর ঐতিহ্যবাহী নুরুলগঞ্জ হাটের ড্রেনের পানি নিস্কাষন হতে না পারায় ড্রেনে জমাট বাধা পানি ও ময়লা আবর্জনার পঁচা গন্ধে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবে পঁচা আবর্জনা থেকে মশা মাছির উপদ্রোব বাড়ছে। ফলে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতা সাধারণের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালীর ঐতিহ্যবাহী নুরুলগঞ্জ হাটের পানি নিস্কাশনের জন্য সম্ভাব্য ১৯৮৭/৮৮ সালে উক্ত হাটে ২টি পানি নিস্কাষন ড্রেন নির্মান করা হয়। আর নির্মানকৃত ড্রেন দুটির পানি নিস্কাশনের জন্য হাটের পূর্ব প্রান্তে মালিকানাধীন একটি পুকুরের সাথে সংযোগ ছিল। পরবর্তীতে পুকুরটিতে মাটি ভরাট করার ফলে ড্রেনের পানি নিস্কাষন হতে পারছে না দীর্ঘদিন থেকে। ফলে সময়ে অসময়ে বৃষ্টির পানি, হাট মসজিদের অযু খানার পানি, ক্রেতা-বিক্রেতা ও জন সাধারনের জন্য হাটে বসানো একটি টিউবওয়েলের পানি ছাড়াও হাটের টি-স্টলগুলোর ব্যবহৃত পানিতে সব সময় ড্রেন ২টি ভরে উপচে থাকে। একারণে ময়লা আবর্জনার জমাট বাধা উপচে পড়া ড্রেনের পচা দুর্গন্ধময় পানি পরিবেশ দুষন করছে। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবে ড্রেনে জমে থাকা ময়লা আবর্জনা থেকে মশা মাছির উপদ্রপ বাড়ছে এছাড়া বর্ষা মৌসুমে হাটে কাদাযুক্ত ময়লা পানিতে ক্রেতা-বিক্রেতা সাধারনের চলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বৃষ্টি মৌসুমে ড্রেন ২টি পানিতে তলিয়ে থাকায় খোলা ড্রেনে ইতিপূর্বে অনেকেই আহত হয়েছে বলে জানা যায়। হাটটি সপ্তাহে ২দিন সোমবার ও শুক্রবার বসে । এই হটটিতে ঈদুল আযহা উপলক্ষে মাসাধিকাল পর্যন্ত কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য হাজার হাজার মানুষের আগমন ঘটে। গত শুক্রবার হাটটি ঘুরে দেখা যায় গত সালে হাটটিতে ভিডাব্লিউ এসপি প্রজেক্ট কর্তৃক ডিপিএইচই হাটে আসা জন সাধারনের ব্যবহারের জন্য একটি ওয়াটার ট্যাংক বসানো হলেও ট্যাংকটির ব্যবহৃত পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে সরকারী অর্থে নির্মানকৃত পানি ট্যাংকটি জন সাধারনের কোন কাজে আসছে না বলে জানা যায়। বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হাটটির টোল আদায়ের জন্য কোথাও কোন তালিকা সাইনবোর্ড নেই।